মানুষের সৌন্দর্য ফুটে উঠে নাকে। চ্যাপ্টা নাক মুখায়ববের সৌন্দর্য ম্লান করে দেয়। খাড়া ও আকর্ষণীয় সুন্দর নাকের অধিকারী কে না হতে চায়?
নাকের সৌন্দর্যবর্ধনে রাইনোপ্লাস্টি নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নাক, কান ও গলা রোগ বিশেষজ্ঞ এবং সার্জন ডা. মোস্তফা কামাল আরেফিন। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে মানুষের নাকের আকৃতি পরিবর্তন করা সম্ভব।
রাইনোপ্লাস্টির মাধ্যমে বোঁচা, থ্যাবড়ানো বা বসে যাওয়া নাক যেমন খাড়া করা যায়। তেমনি বেঁকে যাওয়া নাক, কুঁকড়ানো নাক সোজা করা যায়। আবার অস্বাভাবিক খাড়া নাক, পাখির ঠোঁটের মতো নিচের দিকে বাঁকানো নাক-ও স্বাভাবিক আকৃতিতে আনা যায়।
মোটা নাককে করা যায় সরু, আর সরু বা বন্ধ নাককে করা যায় প্রসারিত, তাই নাকের সৌন্দর্য রক্ষায় ও সৌন্দর্যবর্ধনে রাইনোপ্লাস্টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। নাকের এই আকৃতিগত বিকৃতি যেমন জন্মগতভাবে হতে পারে,
তেমনি নাকে বিভিন্ন ধরনের আঘাত অথবা তথাকথিত কবিরাজি বা হারবাল চিকিৎসার কারণে হয়ে থাকে। বিনা অপারেশনে নাকের পলিপ, মাংস বৃদ্ধি, রক্তপড়া রোগের নিরাময়ের মিথ্যা প্রলোভনে নির্বিচারে বিপজ্জনক রাসায়নিক পদার্থ (যেমন-অ্যাসিড) নাকে সরাসরি প্রয়োগ করা হচ্ছে,
যা নাকের স্থায়ী মারাত্মক ক্ষতির কারণ। যেমন— নাকের ছিদ্র আংশিক বা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাওয়া, নাক বসে যাওয়া ইত্যাদি। রাইনোপ্লাস্টি অপারেশন শুধু নাকের সৌন্দর্যবর্ধনের জন্যই করা হয় না; বরং অভ্যন্তরীণ বিবিধ সমস্যার সমাধান-ও এই অপারেশনের মাধ্যমে হয়ে থাকে।
নাক, কান, গলা (ইএনটি) সার্জন এবং প্লাস্টিক সার্জনেরা রাইনোপ্লাস্টি সার্জারি করে থাকেন, যাদের রাইনোপ্লাস্টির ওপর বিশেষ প্রশিক্ষণ করা থাকে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।